বরিশাল অফিস : বরিশালের বিআরটিসি বাস ডিপোতে সন্ধ্যার পরেই শুরু হয় মাদক বিক্রির হাট।চলে গভীর রাত পর্যন্ত। গেট বন্ধ থাকায় নিশ্চিন্তে চলে ব্যবসা। ১ ডিসেম্বর শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ইয়াবাসহ সেবনের সরঞ্জামসহ আটক হয় দুজন। ডিবি পুলিশের এস আই রাফসান এ অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করে বলে জানা গেছে । মাদকসহ দুজন আটকের ঘটনা জেনে যায় ডিপো ম্যানেজারসহ গনমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা তাতে ধীরে ধীরে ভিড় করে অসংখ্য গনমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় লোকজন।
এসআই রাফসানের সাথে দহরম শেষে ছেড়ে দেয়া হয় আটক ইব্রাহীম ও সুজনকে নামক দুই মাদক ব্যবসায়ীকে । ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যায় মুল হোতা ওসমান ও রবিউল । বিআরটিসির চারটি বাস সাব লীজ নিয়ে পরিচালনা করে ইব্রাহীম। গোপন একটি সূত্রে আরো জানা যায় বাস ডিপোরর ম্যানেজার ইব্রাহিমের কথায় উঠে বসে এবং অনৈতিক কাজেও সহায়তা করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত । আটকের তালিকায় তুষার নামে একজন ছিল বহিরাগত ।
ওসমান বিআরটিসি বাসের চালক, ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিক ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইব্রাহীম ও সুজনকে আটক করে। ইয়াবাসহ মুল হোতা টের পেয়ে সেখান থেকে আগেই পালিয়ে যায়। গভীর রাতে বিআরটিসির ট্রাফিক বিভাগের প্রধানের রুমে এস আই রাফসানের সাথে গোপন সমঝোতার মাধ্যমে নবনির্বাচিত এক কাউন্সিলর এর রফাদফায় ছেড়ে দেয়া হয় এ বিষয়ে কাউন্সিলরকে ফোন করা হলে তিনি বলেন দুজনই আমার ওয়ার্ডের তাই আমার ওখানে উপস্থিত হওয়া।
এ ঘটনায় মুল হোতা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাহিরেই । স্থানীয়রা জানিয়েছেন,বিআরটিসি ডিপোর মধ্যে সন্ধ্যার পর থেকেই ওসমানের নেতৃত্বে গাজা ও ইয়াবার হাট বসে। চলে সেবনও। ইব্রাহীম, রবিউল ও ফিরোজ অঘোষিত রাজা। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলেনা। যারাই প্রতিবাদ করে তাদের ডিপো ত্যাগ করতে হয়। সুত্র জানায়,মাদক বিক্রির সেল্টার দাতা ফোরকান, ওসমান ও ইব্রাহীম পরষ্পর আত্মীয় হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করেনা। সুত্র আরো জানায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভিবিন্ন ধরনের মাদক এনে এহেন কর্মকাণ্ড চালায় ওসমান ও ইব্রাহীম। আটক হলে সাথে সাথে তদবীর করে ছাড়িয়ে নেন আসামী পক্ষরা।
বিআরটিসির ম্যানেজার জমশেদ আসামী রক্ষার জন্য আজমল, জাহিদ ও রবিউলকে দ্বায়িত্ব প্রদান করে বলেও জানায় সুত্রটি। এ ব্যাপারে এস আই রাফসান জানান দুজনকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করা হয়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বিআরটিসির বরিশালের ম্যানেজার জানান, আমি বরিশালে নাই। এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারছিনা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখতেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন গত ব্যবস্থা নিব।
বরিশাল