নিজস্ব প্রতিবেদক॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণ ও বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপুরনের টাকা উত্তোলনে বছরের পর বছর ধরে হয়রানি ও ভোগান্তি এবং মামলা জটিলতা থেকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাব সংলগ্ন শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কে মানববন্ধন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. আসাদুর রহমান এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া মৌজার ৮২ টি খতিয়ানের অন্তত ৫২ টি খতিয়ানের প্রায় ২০০ কোটি টাকা হয়রানিমূলক মামলার কারণে আটকে রয়েছে। এ কারণে বছরের পর বছর আমরা দুই শ’ পরিবার অসহায়ের মত পটুয়াখালী জেলা প্রশাস, এলএ শাখা ও আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।
আমরা অধিগ্রহনকৃত সম্পত্তির মালিক। অধিগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পরে ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে জানতে পারি যে, বিভিন্ন আদালতে মামলা দিয়ে স্বার্থান্বেষীমহল টাকা তুলতে দিচ্ছে না। বছরের পর বছর ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।
অথচ স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন ২০১৭ এর ৪ ধারা নোটিশ জারির পর জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার চাওয়া ব্যতীত অধিগ্রহণ সম্পর্কিত ভূমি নিয়ে কোন প্রকারের মামলা করা যাবে না।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে গৃহীত ২০১৭ সালের ২১ নং আইনের গেজেটের ৪৭ বিধিতে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। কিন্তু এসব মানা হচ্ছে না কলাপাড়ায়।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ২০ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো:নূর কুতুবুল আলম গণমধ্যম কর্মীদের বলেন, আদালতে মামলা চলমান থাকায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের টাকা হস্তান্তর করতে পারছেন না। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা আদালতের মাধ্যমে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে পারলে টাকা হস্তান্তরে কোন জটিলতা থাকবে না।
পটুয়াখালী



 
					
					
 
                                                                 
                                                                 
                                                                 
                                                                 
                                                                 
                                                                 
            