চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ডিগ্রী কলেজের ২ সহকারী অধ্যাপক ও ১ কম্পিউটার শিক্ষকের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর কলেজে না এসে বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন গিয়ে এমন তথ্য ফুটে উঠেছে। কলেজে গিয়ে ইসলাম শিক্ষার সহকারী অধ্যাপক হাজী কামাল উদ্দিন, হিসাব বিজ্ঞানের হাফেজ আহম্মদ ও কম্পিউটার শিক্ষক বজলুর রহমান উপস্থিত পাওয়া যায়নি।
কলেজের অধ্যক্ষ আঃ হক তাৎক্ষণিক ৩জনের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কম্পিউটার শিক্ষক বরিশাল সহপরিবারে বাসা নিয়ে থাকেন। হিসাব বিজ্ঞানে শিক্ষক হাফিজ অসুস্থ লালমোহনে থাকেন। চলতি ২৩সালে নভেম্বরে (অবঃ)যাবেন।
হাজী কামাল উদ্দিন চাকুরী ছেড়ে দিবেন। ২ বছর পূর্ব থেকে চাকুরী ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কলেজের এই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রায় ৮ বছর পর্যন্ত কলেজে নিয়মিত পাঠদান করেননা। মাঝে মাঝে এসে শিক্ষক হাজিরা খাতায় সই স্বাক্ষর দিয়ে প্রতিমাসে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন।
নাম প্রকাশে অনিছুক জনৈক শিক্ষক বলেন, এই ৩ শিক্ষকের ফলে অনেক শিক্ষক সময় অসময় কলেজে নুপুস্থিত থেকে সুবিধা নিচ্ছেন। এতে কলেজে পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
শিক্ষক হাজিরা খাতায় দেখা যায়, ইসলাম শিক্ষার সহকারী অধ্যাপক হাজী কামাল উদ্দিন ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত/২৩, হিসাব বিজ্ঞানের হাফিজের ২৪আগষ্ট ও কম্পিউটার বজুলুর রহমানে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সই স্বাক্ষর রয়েছে।
ইসলাম শিক্ষার সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন হজ্জ ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রায় ওমরা ও মূল হজ্জের বিষয় নিয়ে মক্কায় অবস্থান করেন। তিনি মাঝে মাঝে মাইক্রবাস দিয়ে কলেজে শিক্ষক হাজিরা খাতায় সই স্বাক্ষর দিয়ে যান।
এবং প্রতিমাসে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। এই বিষয় পূর্বে অধ্যক্ষ ও বর্তমান অধ্যক্ষ আঃ হক চুপ থাকেন। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এড.রুহুল কুদ্দুস অবঃ চলে যান।
চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে শূন্য পদে বর্তমান অধ্যক্ষ আঃ হক নিয়োগ প্রাপ্ত হন। যোগদানের ৯মাসের মধ্যে এই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি অধ্যক্ষ। ফলে তারা পূর্বের ন্যয় কলেজে অনুপস্থিত থাকেন বলে জানা যায়।
তাদের যোগদানের তারিখ অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন দেয়া যাবেনা পরে দিব। এই ব্যপারে ইসলাম শিক্ষার সহকারী অধ্যাপক হাজী কামাল উদ্দিন বলেন, আমি ঢাকায় ডাক্তার সলিমুল্লার অধিনে সিকিৎসায় রয়েছি।
দুই এক দিনের মধ্যে চরফ্যাশন আসবো। কম্পিউটার শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন, আমি বরিশালে কলেজের এইচএসসি খাতার জন্যে আসছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, কলেজ বিষয়গুলো দেখিনা। এমনকি ভোলার ডিও দেখেননা। এই গুলো বরিশাল আঞ্চলিক শিক্ষা অধিদপ্তর(ডাইরেক্টর) দেখেন। তিনি যদি কাউকে রেফার করেন তাহলে সরেজমিনে গিয়ে প্রতিবেদন দেয়া হয়।
ভোলা