নিজস্ব প্রতিবেদক, বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফলে ব্যাটারিচালিত রিকশা চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগী রিকশাচালককেই রিকশা খোঁজার দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাউফল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। রিকশা চুরির ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও তদন্ত কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করেননি বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী রিকশাচালক আতিকুর রহমান জানান, গত ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় বাউফল পৌরসভা ভবন সংলগ্ন মুসলিম পাড়া সড়ক থেকে তাঁর অটোরিকশাটি চুরি হয়। ওই দিন রাতেই তিনি বাউফল থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন ২৩ আগস্ট সকাল গড়িয়ে বিকেল পর্যন্তও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। ভুক্তভোগীকে সঙ্গে নিয়ে পৌর ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেন। এরপর অনেকটা ব্যস্ততা দেখিয়ে অল্প সময় পরেই তিনি থানায় চলে যান বলে জানান।
চলে যাওয়ার আগ মুহূর্তে পৌরসচিব, পৌর উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও একজন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এসআই নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগীকে রিকশাটি খুঁজে দেখার পরামর্শ দেন এবং আশপাশে অন্য কোনো বাড়ির সিসি ক্যামেরা আছে কি না তাঁকে জানাতে বলেন। সেদিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তা ভুক্তভোগীর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগও করেননি এবং অভিযোগ তদন্ত করেননি বলেও জানান ভুক্তভোগী রিকশাচালক।
বাউফল পৌরসভার সচিব মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনার দিন এসে কিছু ফুটেজ দেখছিল। তবে বাকি ফুটেজ কারিগরি ত্রুটির কারণে দেখতে পারেনি। পুলিশ ওই দিনের পর থেকে আর আসেনি।’
ভুক্তভোগী রিকশাচালক আতিকুর রহমান বলেন, ‘১২ দিন ধরে তিন শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। রিকশা চালিয়ে টাকা-পয়সা আয় করা ছাড়া, অন্য কোনো উপায় নাই আমার। পুলিশকে ভয় পাই, তাই বেশি কথা বলতে পারি না। আশপাশে কোথায় ক্যামেরা আছে আমি কীভাবে জানব? এটা তো খুঁজে বের করা পুলিশের কাজ।’
এ বিষয়ে রিকশা চুরির অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ও বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো তাঁর রিকশা চিনি না। তাই তাঁকে খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে না এই অভিযোগ মিথ্যা। তবে আমার তদন্তকাজ চলমান রয়েছে।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, ‘এ ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তবুও আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।
পটুয়াখালী