পটুয়াখালীর বাউফলে এক মাস আগে বিয়ে হয় তানজিলার। এক সপ্তাহ আগে বিদেশে চলে যান স্বামী সাইদুল ইসলাম। মঙ্গলবার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে গিয়েই মারা যান তানজিলা।
হাতে মেহেদির রঙ না মুছতেই তানজিলা নামের (১৮) এক নববধূর মৃত্যু হয়েছে। তানজিলা উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের ছালাম তালুকদারের মেয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ১ মাস আগে একই ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপাশা গ্রামের সোবাহান মোল্লার ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী সাইদুল ইসলাম ওরফে সোহরাব হোসেনের সঙ্গে তানজিলার বিয়ে হয়। ১ সপ্তাহ আগে তানজিলার স্বামী মালয়েশিয়া চলে যান। এরপর তানজিলা তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যেতে চাইলে শ্বশুর সোবাহান মোল্লা বাধা দেন। বিয়ের সময় তানজিলার বাবার দেওয়া আসবাবপত্র নিয়ে খোঁটা দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন। এছাড়া গত ৪-৫ দিন পর্যন্ত তানজিলাকে কিছুই খেতে দেওয়া হয়নি।
শ্বশুর-শাশুড়িকে অনেক অনুরোধের পর ৫ দিনের শর্তে তানজিলাকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসতে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন তানজিলা। এরপর তাকে দ্রুত পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানজিলার মৃত্যু হয়।
তানজিলার চাচাতো বোন হেলেনা বেগম বলেন, বিয়ের পর তানজিলার ওপর তার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেছে। এ কারণেই তানজিলার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশালে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় তানজিলার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
তানজিলার মা শিউলি বেগম বলেন, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
অবশ্য নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে তানজিলার শ্বশুর সোবাহান মোল্লা বলেন, আমার বাড়িতে কিছুই ঘটেনি। তানজিলা বাবার বাড়ি গিয়ে বিষ জাতীয় কিছু খেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে।
বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালী