জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন একই বিভাগের সাবেক এক ছাত্রী। এ ঘটনায় সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির (যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল নামে পরিচিত) কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেলের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহতাব-উজ-জাহিদ।
এর আগে গত ২৩ মার্চ নিজের ফেসবুক আইডি থেকে করা এক পোস্টে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা ও পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাজু সাহা। এছাড়া আদালতে অভিযোগকারী ছাত্রীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য’ প্রচারের দায়ে ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলাও দায়ের করেছেন ওই শিক্ষক।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, সাজু সাহার জন্য আমি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করতে পারিনি। অবশ্য, অন্য কারণও ছিল। তবে স্নাতকোত্তর না করার পেছনে ওনার ডিস্টার্বেন্স ছিল মেজর। স্নাতকের শেষ সেমিস্টার থেকেই আমাকে উনি বিভিন্ন উপায়ে হয়রানি শুরু করেন। আমার কাছে এর সব তথ্য-প্রমাণ আছে। সময়মতো আমি সব উপস্থাপন করব।
অভিযোগ অস্বীকার করে মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহা বলেন, যে আমার ব্যাপারে অভিযোগ করেছে সে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। এতে আমার মানহানি হয়েছে। আমি তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছি। এছাড়া কোর্টেও মামলা করেছি। আশা করছি আদালত যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাবির যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জেবউননেছা।
অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে সোমবার বিকালে অনুষ্ঠিত জাবির বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান। তবে ঘটনাটি আদালতে মামলাধীন ও জাবি যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির তদন্তাধীনে থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
হোম