এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের সুপার ফোরে টানা দুই ম্যাচে পাকিস্তানের পর শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে ফাইনালের আগেই বিদায় নিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে বাংলাদেশ হেরে যায় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
আজ সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। কঠিন সমীকরণের ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২১ রানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যায় টাইগাররা।
শনিবার শ্রীলংকার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান করে শ্রীলংকা। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪৮.১ ওভারে ২৩৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। ২৯ ও ২৮ রান করে করে মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম।
শ্রীলংকার ২১ রানের জয়ে বল হাতে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন মাহিশ তিকশানা, মাথিশা পাতিরানা ও দাসুন শানাকা।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলংকা। এক উইকেটে ১০৮ রান করা দলটি এরপর মাত্র ৫৬ রানের ব্যবধানে হারায় ৪ উইকেট।
একটা পর্যায়ে ৫ উইকেটে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ১৬৪ রান। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন সাদিরা সামারাবিক্রমা। এরপর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়। শেষ দিকে শ্রীলংকা ৩৩ রানে হারায় ৫ উইকেট।
দলের এই ব্যাটিং বিপর্যয়ে লড়াই করে গেছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও কুশাল মেন্ডিস। মেন্ডিস ৭৩ বলে ৫০ রান করে আউট হলেও সেঞ্চুরির জন্য লড়াই করে যান সামারাবিক্রমা।
শেষ ওভারে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে সামারাবিক্রমার প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। শেষ ওভারে বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৪টি। তাসকিন আহমেদের করা তৃতীয় বলে চার আর চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৭১ বলে ৯৩ রানে পৌঁছে যান তিনি।
শেষ দুই বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে সামারাবিক্রমার প্রয়োজন ছিল ৭ রান। পঞ্চম বলটি ডট আর শেষ বলে আউট হলে তার সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেস্তে যায়।
সেঞ্চুরি না পেলেও দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে ৭২ বলে ৮টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৯৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সামারাবিক্রমা। এছাড়া ৬০ বলে ৪০ রান করেন পাথুম নিশানকা।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। ২ উইকেট নেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম।
২৫৮ রানের টার্গেট তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। ভালো শুরু পরও ব্যাটিং বিপর্যয়। ওপেনিং জুটিতে ৫৫ করা বাংলাদেশ, এরপর মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের উইকেট হারায়।
এরপর ২৩ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় আরও ২ উইকেট। মিরাজ ২৮ বলে চার বাউন্ডারিতে ২৯ করে ফেরেন। ৪৬ বল মোকাবেলা করে এক চারে ২১ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ।
৭ বলে ৩ আর ২৪ বলে ১৫ রানে ফেরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাস।
প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও তরুণ ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। তারা ১১২ বলে ৭২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান।
দলীয় ১৫৫ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন মুশফিক। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়। এরপর তাওহিদ হৃদয় বেশি সময় উইকেটে স্থায়ী হতে পারেননি। শেষ দিকে একের পর এক উইকেট পতনের কারণে পরাজয় এড়ানো সম্ভব হয়নি।
খেলাধুলা